বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২১ অপরাহ্ন
মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জ জেলার সংসদীয় আসন-২ এর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত এমপি প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ডা. কেএম বাবর। বিগত প্রায় ১৫ বছরের রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশেও তিনি সাহসিকতার সঙ্গে গোপালগঞ্জের রাজনীতির মাঠে বিএনপির কার্যক্রম সক্রিয় রেখেছেন।
পেশায় একজন চিকিৎসক ডা. বাবর ও তাঁর সহধর্মিণী দুজনই চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত। এই পেশাকে জনসেবার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তিনি গরিব ও অসহায় মানুষকে দীর্ঘদিন বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। স্থানীয়দের কাছে তিনি পরিচিত হয়েছেন “গরিবের বন্ধু” হিসেবে।
গোপালগঞ্জ-২ আসনের উন্নয়ন ও স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত ডা. বাবর দুর্নীতি, দখলদারি, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিমুক্ত সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি স্বচ্ছ ও প্রভাবমুক্ত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি জেলার গ্রামেগঞ্জে নিরলস প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ-২ আসনের বাস্তব চিত্র
গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানীর আংশিক নিয়ে গঠিত এই আসনটি বহুদিন ধরে সব ধর্মের মানুষের শান্তি ও সম্প্রীতির আবাস। তবে পরিকল্পিত নগর উন্নয়ন, গ্রামীণ অবকাঠামো ও শিল্পকারখানা না থাকায় এখানে বেকারত্ব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সচেতন মহলের মতে, এই সমস্যার সমাধানে সৎ, শিক্ষিত, মেধাবী ও সাহসী নেতৃত্ব প্রয়োজন—যা স্থানীয়দের দৃষ্টিতে ডা. বাবরের মধ্যেই প্রতিফলিত।
রাজনৈতিক পদ ও অভিজ্ঞতা
ডা. বাবর ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ফরিদপুর বিভাগের কো-অর্ডিনেটর। ছাত্রজীবনে তিনি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ও জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষা ও কর্মজীবন
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঝিগাতী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত খান বংশে জন্ম নেওয়া ডা. বাবর প্রাইমারি ও জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় যথাক্রমে জেলার ট্যালেন্টপুলে ৩য় ও ১ম স্থান অর্জন করেন। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার থেকে ক্লিনিক্যাল মেডিসিনে মাস্টার্স এবং ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে পেইন ও প্যালিয়েটিভ মেডিসিনে ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।
পেশাগত জীবনে তিনি অ্যাপোলো হাসপাতাল, আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নড়াইল সদর হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ইংল্যান্ড ও ভারতের খ্যাতনামা হাসপাতালে কাজের অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
মানবিক উদ্যোগ
গোপালগঞ্জের থানাপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত আরাফ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে তিনি ও তাঁর সহধর্মিণী ডা. রাবেয়া আক্তার প্রতিদিন অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবায় নিয়োজিত।
গোপালগঞ্জ-২ আসনের সচেতন নাগরিকদের বিশ্বাস, ডা. কেএম বাবরের মতো সৎ, শিক্ষিত, অভিজ্ঞ ও সাহসী নেতৃত্ব এ আসনকে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং স্বচ্ছ রাজনীতির পথে এগিয়ে নেবে।

All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।